Friday, September 9, 2011

আমাদের গান - ৭

মন্ত্রী থেকে চাপরাশী
সাধারণ - অসাধারণ
আমাদের পেটে বড্ড খিদে
তাই তো কামড়ে কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত সংসার।

Friday, September 2, 2011

পথে যেতে যেতে......

যখন মাঠ ভরা ধান গাছ
কাদামাখা শরীরের সাথে
চাষীর মুখে হাসির প্লাবন হওয়ার কথা
আমি সাইকেল চেপে
পিঠে উত্তাপ বয়ে নিয়ে যেতে যেতে দেখি
কলতলার গর্তে চান সেরে নিচ্ছে ক্লান্ত চড়ুই
ধু ধু মাঠ ফেটে চৌচির
হৃদয় পোড়া গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে আসছে
চাষীর চোখের জলুও যথেষ্ট নয় লাঙল চালানোর জন্য
আমি নাকে রুমাল চাপা দিয়ে
রাস্তার ধুলা মাখতে মাখতে বাড়ি ফিরি।

প্রলাপ - ২১

আমি মার্কস্ বুঝি না
বুঝি না লেনিন, স্টেলিন, মাও সে তুং
আমি বুঝি না বুদ্ধ, জীষু, কৃষ্ণ
বুঝি না হজরত মহম্মদ
আমি আমার মত করে গেয়ে যাব গান
গান মানুষের।

প্রলাপ - ১৯

বিজ্ঞদের পাশ গলিয়ে একটু এগিয়ে যেতে গিয়ে দেখি
এ যে সব রুক্ষ ছন্দ ছন্দ খেলা
আমার ভাবনার শব্দেরা বুঝি এবার
ফিরতি ট্রেনে পাড়ি দেবে অজানায়।
 
(বন্ধু গ্রুপে ছন্দের আড্ডা দিতে গিয়ে। ২৬ জুলাই ২০১১)

প্রলাপ - ১৪

বিশুদ্ধ জল, বিশুদ্ধ বাতাস, বিশুদ্ধ আহারের মত
আজ বিশুদ্ধ হৃদয়ের বড় অভাব পড়ে গেছে।

গ্রহণ

আজ আঁধারে ঢাকা চাঁদ শুধু আকাশে একা নেই
আমাদের মনও তো এখনো গ্রহণে ঢাকা।

(১৫ জুন ২০১১,  চন্দ্র গ্রহণের সময় লেখা।)






প্রলাপ - ১৬

গুণতে গুণতে একশ তো হবেই
শিশুপাল যত খুশি পাপ করে যাও।

প্রলাপ - ১৭

দোকানের পাশে ফেলা
শিখরের প্যাকেটের টুকরোর মত
কতদিন বল ছেড়া হৃদয় নিয়ে বেঁচে থাকা যায়

বরঞ্চ হৃদয়হীন লম্পট হব
কোনদিন সুযোগ পেলে ।
 
(১৮ জুন ২০১১)

আক্ষেপ

মেলার শেষে হিসাবের খাতা খুলে দেখি
প্রেমের কবিতা লিখিনি একটিও।
 
মেলা শেষে
সাত নয় সাতাশ নয়
সাত জন্ম সময় 
এভাবেই কেটে যাক
'বন্ধু'র পাশাপাশি
থাক সুখ, শোক থাক
চল চলি ঐহিক যন্ত্রনা ভুলি।

(''বন্ধু'' গ্রুপের কবিতা উৎসব শেষে। ১৯ জুন ২০১১।)

গল্প নিয়ে...

সাতটি দিনের ভাবনার শেষে
গুণে গুণে ঠিক সাড়ে ছয় তা কাগজ
পৌনে একটি সেলো গ্রিপারের কালি
সকাল থেকে গুণে গুণে একশ সাতানব্বই মিনিট সময়
খরচ করেও গল্প লেখা হলো না।

আমি ভাবি -
দু-চারটে লাইন কখনও সখনও লেখা যায় ঠিকই
গল্প কখনও নয়।
 
(বন্ধু গ্রুপের গল্প উৎসব নিয়ে লেখা। ২৬ জুন ২০১১)

চন্দ্রিমা - ১

উৎসব মুখর পথ্প্রান্তর
উত্তপ্ত সরণি মহাসরণি
দাপাদাপি যুগলবন্দি মানব-মানবীর
আমি শুধু একা ফিরি
চন্দ্রিমার খোঁজে
উৎসব থেকে উৎসবে
দীর্ঘ পথ -
একরাশ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে।
 
 
(৬/১০/০৮ দুর্গাপূজোর সময় লিখেছিলাম)
 
 

হারিয়ে যাচ্ছি কোথাও

আমাদের বার্তালাপ যখন তারহীন যন্ত্রে সম্ভব হচ্ছে আজ
ইঁদুরের লেজ হয়ে যখন
যুগান্তরের উক্তিও ভেসে আসে বোকা বাক্সে
আমি ক্রমশ নিজেকে হারিয়ে ফেলছি
আমার পূর্ব পুরুষের ভীড়ে।

আর মাঝে মাঝে মনে হয়
আমি বুঝি বদলে যাচ্ছি
কোন হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান অথবা
অন্য কোন 'জীবে'।

প্রলাপ - ২২

গরমের ছুটিতে কবিতারা মামাবাড়ি গেছে
তাই খাতা আর কলমটা তাকে তুলে রেখেছি।
 
১২ জুলাই ২০১১, সময় রাত ১১-৩৪

শ্মশান থেকে ফিরে

এই মাত্র যাকে চিতায় তুলে এলাম
সে আমার বন্ধু নয়, আমার আত্মীয় নয়
নয় কোন প্রিয় ব্যক্তি
কখনো তাকে গালাগাল দিয়েছি , কখনো বেইমান বলেছি
কখনো হয়ত নিজের স্বার্থে কাছেও ডেকেছি
তবে কখনো ভালোবাসিনি
তবু এখন তার কথা ভাবতে গিয়ে দেখলাম
সে আমার সবচেয়ে প্রিয় লোকেদের একজন ।
আমি ক্রমশ ভাষা হারিয়ে ফেলছি
ভুলে যাচ্ছি সব শব্দ ।
 
জুলাই ১৪/ ২০১১ সময়  রাত ১২-২২

প্রলাপ - ১১

বৃষ্টির প্রতিটি ফোটার মত আমিও পাতাল ছুঁবো
উপরে থাকাটা ভিষন কষ্টের
প্রতি মুহূর্তে খসে পড়ার ভয়
ভালো করে বাঁচতে দেয় না।

প্রলাপ নয়

তোড়া তোড়া ফুল
শহিদবেদিতে কয়েকটা রঙ্গিন কাগুজে মালা
আমরা বাৎসরিক বুক চাপড়ে শুধু 
দশক, রজত, সুবর্ণ, হীরক জয়ন্তী গুণে যাই
দুচারটে দায়সারা বক্তৃতা, আর দুচারটে গান গাই।

আমি সপ্নের সাক্ষাতে বেশ বুঝি
শহিদ চায় না কিছুই
চায় না-
বন্দি হতে শহিদ বেদিতে
দম বন্ধ উৎকট গন্ধে বর্জ্য আবর্জনায়।

শহিদ থাকনা বেঁচে আমাদের চেতনায়
আর হৃদয়ে গড়ে উঠুক লক্ষ শহিদ মিনার।
না হয় শহিদবেদি ভেঙ্গে ডাস্টবিন গড়
ফুল গাছে বেশি শোভা পায়।