Monday, December 19, 2011

প্রলাপ - ২৬


নবান্নের শীতেই বোধহয় জমে গেছে
বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো
তাইতো 'বন্ধু'র পাতা আজকাল
কেমন যেন একাকীত্বের বিষন্নতায় মূক।

Sunday, December 4, 2011

চন্দ্রিমা - ৭

ক্ষয়ে ক্ষয়ে রুগ্ন সভ্যতা
ইতিহাস, পচে গলে দুর্গন্ধ
প্রতি নিয়ত প্রতিটি নিঃশ্বাস;
শরীরের প্রতিফোটা রক্তবিন্দু; 
চারপাশের সবকিছুকেই প্রতিদ্বন্দি মনে হয় আজকাল।
মনে হয় সবকিছুই মুখশের আড়ালে
আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।

তবুও  বুকের ভেতর তোমার অস্তিত্ব টের পাই বলেই
এখনো লড়তে লড়তে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়;
ইচ্ছে হয় মুখোশগুলো খুলে দেই সবশেষে।

Sunday, November 20, 2011

প্রলাপ - ২৫


রাম শ্যামের সাধ্য নেই দূর্নীতি হটাবার
আমরা মায়ের আচলও বেচতে পারি
টু-পাইস কামাতে।

(আজ {১০/২৯/১১} করিমগঞ্জ থেকে সুমো গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলাম, গাড়িতে বসেই এগুলো লিখলাম।)






Saturday, October 29, 2011

প্রলাপ - ২৩

শহুরে ফুটবল
ঝুল বারান্দার মাঠ পেরোয় না কখনো

প্রলাপ - ২৪

সুন্দরী যাত্রীর পাশে বসা কুৎসিত পুরুষটিও
নিজেকে সুপুরুষ ভাবে
উল্টোটাও হয় মাঝে মাঝে।
প্রলাপ - ২৫

রাম শ্যামের সাধ্য নেই দূর্নীতি হটাবার
আমরা মায়ের আচলও বেচতে পারি
টু-পাইস কামাতে।

(আজ করিমগঞ্জ থেকে সুমো গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলাম, গাড়িতে বসেই এগুলো লিখলাম।)

Friday, September 9, 2011

আমাদের গান - ৭

মন্ত্রী থেকে চাপরাশী
সাধারণ - অসাধারণ
আমাদের পেটে বড্ড খিদে
তাই তো কামড়ে কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত সংসার।

Friday, September 2, 2011

পথে যেতে যেতে......

যখন মাঠ ভরা ধান গাছ
কাদামাখা শরীরের সাথে
চাষীর মুখে হাসির প্লাবন হওয়ার কথা
আমি সাইকেল চেপে
পিঠে উত্তাপ বয়ে নিয়ে যেতে যেতে দেখি
কলতলার গর্তে চান সেরে নিচ্ছে ক্লান্ত চড়ুই
ধু ধু মাঠ ফেটে চৌচির
হৃদয় পোড়া গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে আসছে
চাষীর চোখের জলুও যথেষ্ট নয় লাঙল চালানোর জন্য
আমি নাকে রুমাল চাপা দিয়ে
রাস্তার ধুলা মাখতে মাখতে বাড়ি ফিরি।

প্রলাপ - ২১

আমি মার্কস্ বুঝি না
বুঝি না লেনিন, স্টেলিন, মাও সে তুং
আমি বুঝি না বুদ্ধ, জীষু, কৃষ্ণ
বুঝি না হজরত মহম্মদ
আমি আমার মত করে গেয়ে যাব গান
গান মানুষের।

প্রলাপ - ১৯

বিজ্ঞদের পাশ গলিয়ে একটু এগিয়ে যেতে গিয়ে দেখি
এ যে সব রুক্ষ ছন্দ ছন্দ খেলা
আমার ভাবনার শব্দেরা বুঝি এবার
ফিরতি ট্রেনে পাড়ি দেবে অজানায়।
 
(বন্ধু গ্রুপে ছন্দের আড্ডা দিতে গিয়ে। ২৬ জুলাই ২০১১)

প্রলাপ - ১৪

বিশুদ্ধ জল, বিশুদ্ধ বাতাস, বিশুদ্ধ আহারের মত
আজ বিশুদ্ধ হৃদয়ের বড় অভাব পড়ে গেছে।

গ্রহণ

আজ আঁধারে ঢাকা চাঁদ শুধু আকাশে একা নেই
আমাদের মনও তো এখনো গ্রহণে ঢাকা।

(১৫ জুন ২০১১,  চন্দ্র গ্রহণের সময় লেখা।)






প্রলাপ - ১৬

গুণতে গুণতে একশ তো হবেই
শিশুপাল যত খুশি পাপ করে যাও।

প্রলাপ - ১৭

দোকানের পাশে ফেলা
শিখরের প্যাকেটের টুকরোর মত
কতদিন বল ছেড়া হৃদয় নিয়ে বেঁচে থাকা যায়

বরঞ্চ হৃদয়হীন লম্পট হব
কোনদিন সুযোগ পেলে ।
 
(১৮ জুন ২০১১)

আক্ষেপ

মেলার শেষে হিসাবের খাতা খুলে দেখি
প্রেমের কবিতা লিখিনি একটিও।
 
মেলা শেষে
সাত নয় সাতাশ নয়
সাত জন্ম সময় 
এভাবেই কেটে যাক
'বন্ধু'র পাশাপাশি
থাক সুখ, শোক থাক
চল চলি ঐহিক যন্ত্রনা ভুলি।

(''বন্ধু'' গ্রুপের কবিতা উৎসব শেষে। ১৯ জুন ২০১১।)

গল্প নিয়ে...

সাতটি দিনের ভাবনার শেষে
গুণে গুণে ঠিক সাড়ে ছয় তা কাগজ
পৌনে একটি সেলো গ্রিপারের কালি
সকাল থেকে গুণে গুণে একশ সাতানব্বই মিনিট সময়
খরচ করেও গল্প লেখা হলো না।

আমি ভাবি -
দু-চারটে লাইন কখনও সখনও লেখা যায় ঠিকই
গল্প কখনও নয়।
 
(বন্ধু গ্রুপের গল্প উৎসব নিয়ে লেখা। ২৬ জুন ২০১১)

চন্দ্রিমা - ১

উৎসব মুখর পথ্প্রান্তর
উত্তপ্ত সরণি মহাসরণি
দাপাদাপি যুগলবন্দি মানব-মানবীর
আমি শুধু একা ফিরি
চন্দ্রিমার খোঁজে
উৎসব থেকে উৎসবে
দীর্ঘ পথ -
একরাশ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে।
 
 
(৬/১০/০৮ দুর্গাপূজোর সময় লিখেছিলাম)
 
 

হারিয়ে যাচ্ছি কোথাও

আমাদের বার্তালাপ যখন তারহীন যন্ত্রে সম্ভব হচ্ছে আজ
ইঁদুরের লেজ হয়ে যখন
যুগান্তরের উক্তিও ভেসে আসে বোকা বাক্সে
আমি ক্রমশ নিজেকে হারিয়ে ফেলছি
আমার পূর্ব পুরুষের ভীড়ে।

আর মাঝে মাঝে মনে হয়
আমি বুঝি বদলে যাচ্ছি
কোন হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান অথবা
অন্য কোন 'জীবে'।

প্রলাপ - ২২

গরমের ছুটিতে কবিতারা মামাবাড়ি গেছে
তাই খাতা আর কলমটা তাকে তুলে রেখেছি।
 
১২ জুলাই ২০১১, সময় রাত ১১-৩৪

শ্মশান থেকে ফিরে

এই মাত্র যাকে চিতায় তুলে এলাম
সে আমার বন্ধু নয়, আমার আত্মীয় নয়
নয় কোন প্রিয় ব্যক্তি
কখনো তাকে গালাগাল দিয়েছি , কখনো বেইমান বলেছি
কখনো হয়ত নিজের স্বার্থে কাছেও ডেকেছি
তবে কখনো ভালোবাসিনি
তবু এখন তার কথা ভাবতে গিয়ে দেখলাম
সে আমার সবচেয়ে প্রিয় লোকেদের একজন ।
আমি ক্রমশ ভাষা হারিয়ে ফেলছি
ভুলে যাচ্ছি সব শব্দ ।
 
জুলাই ১৪/ ২০১১ সময়  রাত ১২-২২

প্রলাপ - ১১

বৃষ্টির প্রতিটি ফোটার মত আমিও পাতাল ছুঁবো
উপরে থাকাটা ভিষন কষ্টের
প্রতি মুহূর্তে খসে পড়ার ভয়
ভালো করে বাঁচতে দেয় না।

প্রলাপ নয়

তোড়া তোড়া ফুল
শহিদবেদিতে কয়েকটা রঙ্গিন কাগুজে মালা
আমরা বাৎসরিক বুক চাপড়ে শুধু 
দশক, রজত, সুবর্ণ, হীরক জয়ন্তী গুণে যাই
দুচারটে দায়সারা বক্তৃতা, আর দুচারটে গান গাই।

আমি সপ্নের সাক্ষাতে বেশ বুঝি
শহিদ চায় না কিছুই
চায় না-
বন্দি হতে শহিদ বেদিতে
দম বন্ধ উৎকট গন্ধে বর্জ্য আবর্জনায়।

শহিদ থাকনা বেঁচে আমাদের চেতনায়
আর হৃদয়ে গড়ে উঠুক লক্ষ শহিদ মিনার।
না হয় শহিদবেদি ভেঙ্গে ডাস্টবিন গড়
ফুল গাছে বেশি শোভা পায়।

Tuesday, August 30, 2011

চন্দ্রিমা - ৬

অনেক দিন হলো কবিতারা ধরা দিচ্ছে না
তুমিও পাশে নেই চন্দ্রিমা
আর ভালো লাগছে না
...আমি ডুবে যাচ্ছি ভাবনার অন্ধকারে ক্রমশ

তুমি কবিতা হয়ে ধরা দাও স্বপ্নে ক্যানভাসে
কবিতার ছলে ছবি আঁকি আজ।

Saturday, August 27, 2011

চন্দ্রিমা - ৩

অন্তহীন ভাবনার জাল ছিড়ে
এই নরম বৃষ্টির রাতে
শীতল চাদর হয়ে এসো চন্দ্রিমা।

চন্দ্রিমা - ৪

আজ যতই বৃষ্টি হওক
তোমায় ভেসে যেতে দেব না
তোমাকে রেখে দেব মস্তিষ্কের মধ্যে
হৃদয়ে নয়
হৃদয় তো, এদিক ওদিক চলেও যেতে পারে।

Thursday, August 18, 2011

চলো আনন্দে ভাসি আজ

শ্রাবনের ঝর্ণাধারা উপেক্ষা করে চলো আজ আনন্দে ভাসি।
দুঃখটা পড়ে থাক ব্যাকপকেটের শূন্য মানি ব্যাগে
আজ শুধু আনন্দে ভাসি,
আমাদের আছে শুধু আজ, কাল বসন্ত নাও আসতে পারে
চলো আজ আনন্দে ভাসি, দুঃখটা পড়ে থাক ব্যাকপকেটের শূন্য মা
নি ব্যাগে।

চন্দ্রিমা - ৫

তুমি এলে, আবার মুচকি হেসে চলেও গেলে।
হৃদয়ে একমুঠো ভালো লাগা অনুভব করলাম,
তবু রাস্তার তেমাথায় দাঁড়িয়ে আমি ভাবি
ডান দিকে যাবো, না বাদিকে, নাকি সোজা চলবো
এতোদিন ধরে চলেছি যে রাস্তায়।

Wednesday, August 17, 2011

ইচ্ছে করছে না আজ কিছু


আজ আর ইচ্ছে করছে না তোমার জন্য রাত জাগি
ভোর রাতে তোমার জন্য ফুল তুলি
কতদিন বল আর মিছি মিছি এভাবে করা যায়
কতদিন বল টফি মুখে পুরে তুমি আছো ভেবে
আনন্দের মিথ্যে ফোয়ারা ছুটানো যায়
কতদিন, আর কতদিন -

আজ আর ইচ্ছে করছে না তোমার কথা ভেবে
এস এম এস করি বন্ধুদের
ইচ্ছে করছে না দিনটা অন্য আরো দিনের থেকে আলাদা ভাবি
ইচ্ছে করছে না স্বাধীনতা তোমার জন্য আবারও রাত জাগি
ভোর রাতে তোমার জন্য ফুল তুলি।
(14/08/2011, রাত ১২-৩০)

কোন এক গান্ধীর প্রতি


কদিন থেকে দেখছি কিছু লোক যা খুশি করে যাচ্ছে
নির্লজ্জের মত যা তা বকে যাচ্ছে
আর তুমি পেছনের দেওয়ালে,
কখনও পাশের টেবিলে ছবি হয়ে আছো।
আমি বিস্মিত !
তোমার তো ওখানে থাকার কথা নয়।
তুমি নেমে আসো শহরের রাজপথে,
অজানা কোন গ্রামের গলিতেও তুমি আসতে পারো অনায়াসে
 অথবা তুমার জায়গাটা কোন কারাগারও হতে পারে।

তুমি কখনো আমার প্রিয় কেউ ছিলে না
তবু আজ বেশ বুঝি
তোমার সামনে বন্দুকের গুলিও বড্ড অসহায়।
তুমি পাশে থাকলে এরকম হাজারটা যুদ্ধ আমরা জিতবই
এ আমার বিশ্বাস নয়
এ আমার অঙ্গীকার।

আর কতদিন তুমি ছবি থাকবে বলো
এইবার নেমে আসো রাস্তায়।

Saturday, March 5, 2011

আমি আছি

চিলেকোঠা ঘর
এক টুকরো রদ্দুর
শূন্য মানিব্যাগ আর
অনাগত কোন এক নারীর
টুয়েন্টি ফোর-সেভেন খিচখিচানির সাথে
অদ্ভুত রকমের বাঁধা পড়ে গেছিলাম।

ভাগ্যিস হাওয়ার পালকিতে চড়ে বর্ষা
পশ্চিমঘাট পাড়ি দিয়ে এই হেড়ম্ব রাজ্যে এলো
আমি ঘুলঘুলি দিয়ে দেখি দূরে
সবুজ চাদর জড়িয়ে শুয়ে আছে পৃথিবী
গাঁদাফুলের ডগায় ব্যস্ত চড়ুই
জল ছিটানোর খেলায়
ঘর ব্যাঙগুলোও বেরিয়েছে বৃষ্টিতে ভিজত।

আমি ভুলে গেছিলাম
আমারো একটি বৃষ্টিভেজা দিন ছিল;
ক্ষেতের জমিতে দলবেঁধে
মাছধরার ছোটবেলা।

আমার বড্ড বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে।